রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর

চরম খাদ্য ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, ঘরে খাবার নেই ১৪ ভাগ মানুষের

তরফ নিউজ ডেস্ক : শারীরিক, মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে কোভিড-১৯। দেশের নিম্নআয়ের ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে কোনও খাবার নেই। আর ২৯ শতাংশের ঘরে আছে ১ থেকে ৩ দিনের খাবার। দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে নেমে গেছেন নিম্নআয়ের ৮৯ শতাংশ মানুষ।

উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এর এক জরিপে এসব তথ্য উঠে আসছে। দেশের ৬৪ জেলায় ২ হাজার ৬৭৫ জন নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে বলে সম্প্রতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। কোভিড-১৯ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা ও অর্থনৈতিক সঙ্কট সম্পর্কে ধারণা পেতে গত ৩১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে এ জরিপটি পরিচালিত হয়।

জরিপের তথ্য মতে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধের পদক্ষেপের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকায়। করোনাভাইরাসের আগে আয়ের ভিত্তিতে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ ছিলেন দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে এবং ৩৫ শতাংশ ছিলেন দারিদ্র্যরেখার ঊর্ধ্বসীমার নিচে। কিন্তু এখন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৯ শতাংশ দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে নেমে গেছেন। অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতে চরম দারিদ্র্য আগের তুলনায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির আগে জরিপে অংশ নেয়া ২ হাজার ৬৭৫ জনের গড় আয় ছিল ১৪ হাজার ৫৯৯ টাকা। যাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ জানায়ছ এই কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পর তাদের আয় কমেছে। মার্চ ২০২০ এ এসে তাদের গড় আয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৪২ টাকায়। অর্থাৎ তাদের পারিবারিক আয় ৭৫ শতাংশের মতো কমে এসেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম (৮৪ শতাংশ), রংপুর (৮১ শতাংশ) এবং সিলেট বিভাগের (৮০ শতাংশ) মানুষের আয় কমেছে সবচেয়ে বেশি।

ব্র্যাক এর জরিপে উঠে এসেছে, সরকারি ছুটি বা সামাজিক দূরত্বের কারণে ৭২ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন বা তাদের কাজ কমে গেছে। ৮ শতাংশ মানুষের কাজ থাকলেও এখনও তারা বেতন পাননি। কৃষিকাজে সম্পৃক্তদের (৬৫ শতাংশ) তুলনায় অ-কৃষিখাতের দিনমজুররা বেশি (৭৭ শতাংশ) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৫১ শতাংশ রিকশাচালক, ৫৮ শতাংশ কারখানা শ্রমিক, ৬২ শতাংশ দিনমজুর, ৬৬ শতাংশ হোটেল/রেস্তোরাঁকর্মী জানান, চলতি মাসে তাদের আয় নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়। ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে কোনও খাবারই নেই। ২৯ শতাংশের ঘরে আছে ১ থেকে ৩ দিনের খাবার। জরিপে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ সম্পর্কে শতকরা ৯৯ দশমিক ৬ ভাগ মানুষ শুনেছেন। যার মধ্যে ৬৬ ভাগ মানুষ প্রথম বিষয়টি জেনেছেন টেলিভিশন থেকে। মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশন কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাব্য উপায়। আক্রান্ত হলে কোথায় যোগাযোগ করতে হবে এ বিষয়ে নারীদের (৩৮ শতাংশ) চেয়ে পুরুষদের (৬০ শতাংশ) ধারণা বেশি। ৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করে সরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯-এর রোগীর চিকিৎসা হয় না। ৯ শতাংশ মানুষ জানেনই না এই অবস্থায় কী করা উচিত।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় সে বিষয়েও ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতার স্পষ্ট ধারণা নেই। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণের লক্ষণ (জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট) দেখা দিলে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরাসরি চলে না আসার যে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে সে বিষয়েও ধারণা নেই অধিকাংশের। শতকরা ৫৩ জন উত্তরদাতা বলেছেন প্রতিবেশীর এসব লক্ষণ দেখা দিলে তাকে শহরের হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন। মাত্র ২৯ শতাংশ হেল্প লাইনে ফোন করার কথা বলেছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com